HOME

সতপন্থ-তাল

সতপন্থ তাল এর পথে

লোকগাথা হল, ‘সতপন্থ-তাল’ এর রাস্তা পান্ডবদের স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা৷ যদিও উত্তরাখন্ডের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই এমন দাবি করে থাকেন যে, তাঁদের কাছাকাছি উত্তুরে পথটাই হল সেই আদি পথ৷ এতে অবশ্য বিস্ময়েরও কিছু দেখিনা, বাস্তবিকই জায়গাগুলো দেখলে মনে হতেই পারে, -এইটাই বুঝি স্বর্গের পথ৷ অন্তত আমার তো তেমনই মনে হয়৷ যাক্, সেবার সেই পথেই গিয়েছিলাম শুধুমাত্র ঐ তালটাকে দেখে আসব বলে, কোনো স্বর্গারোহণের জন্য কিন্তু নয়৷ মুখে যতই বিরক্তি দেখাই না কেন, আমাদের এ’ ‘নরক’ এর প্রতি যে কী টান তা ঐ স্বর্গের পথে গেলেই বোধগম্য হয়৷ Read more……

মুন্সিয়ারি

ফিরে দেখা মুন্সিয়ারি

জীপের মাথা থেকে স্যাক্ নামিয়ে শহরটা যেটুকু দেখা যায় একটু চোখ বোলালাম। বেশ বড় শহর, ভালো লাগল অনেক সবুজ এখনও অবশিষ্ট আছে দেখে। পিঠে স্যাক্ গলিয়ে হাঁটা দিলাম আরও কিছুটা ওপরে কুমায়ুন মন্ডলের গেস্ট হাউসের দিকে। পথ চলছি, কিন্তু চোখ সেই পঞ্চচুলির দিকে, পরিস্কার নীল আকাশের নীচে শ্বেতশুভ্র পঞ্চশিখর, কানে ভেসে আসা পাহাড়ি সুর কথা খুঁজে পায়, -“তোমার মতো এমন টানে কেউ তো টানে না”। Read more……..

হরকিদুন

হর-কি-দুন কি লালি

পরদিন সকাল ৮টায় সিয়ানগাড্ এর ওপর ছোট্ট কাঠের পুল পেরিয়ে হরকিদুনের রাস্তা ধরলাম। পুল নাপেরিয়ে সোজা রাস্তা চলে গেছে রুঁইসারাগাড্ এর দিকে। সকালের নরম রোদে পাহাড়ি মেয়েরা চলেছে ক্ষেতের কাজে। আমাদের দেখে তাদের অহেতুক হাসাহাসি – বিব্রত বোধ করি। খানিক বাদে নিজেরাই কাছে এগিয়ে এসে হাত পাতে –“মিঠা সাব”, মানে আমাদের কাছে লজেন্সের প্রার্থণা। প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়েওঠা সুন্দরীদের আবদার মেটাতে সবাই দরাজ হয়ে উঠি। আবার এগিয়ে চলা। সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যের মুখে হরকিদুন। Read more……

মণিমহেশ সূর্যোদয়

মনের মণি – মণিমহেশ

এখানে দেরিতে সন্ধ্যে হয়, তাই জিপ থেকে নেমেই হাঁটা দিলাম ধানছোর পথে, সেখানেই আজকের রাত্রিবাস। চলেছি অসংখ্য পূণ্যার্থীকে সঙ্গী করে৷ রাস্তার বাঁপ্রান্তে খাদের দিকে পশ্চিম মুখে আমরা, আর যাঁরা ফিরছেন তাঁরা পূবমুখি – পাহাড়ের কোল ঘেঁষে। সকলের মুখেই শিব ভজনা। গন্তব্য যখন শিবতীর্থ মণিমহেশ, তখন এটাই স্বাভাবিক৷ গলা মেলাই সবার সাথে, -ওঁ নমঃ শিবায়। Read more…….

ত্রিযুগিনারায়ণ

ত্রিযুগিনারায়ণ – পুরাণে আছে শিব-পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল এখানে

মানুষ দেখতে, – মানে, নানাধরনের মানুষ দেখতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে, – সেই হস্টেলে থাকার সময় থেকেই৷ একা একা ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে অগুন্তি মানুষের মাঝে হারিয়ে যাওয়া, আর সেই হারানো ‘আমি’র চোখে সকলের চলন-বলন, অভিব্যাক্তি খুঁটিয়ে দেখার মধ্যে একটা অদ্ভুত ভালোলাগা ছিল তখন, – এখনও সেটা আছে৷ ঐ লোভেই ছুটে যেতাম হরেকরকম মেলাতেও৷ বিশ্বাস করুন সত্যিই হারিয়ে ফেলতাম নিজেকে৷সেই ‘৯০থেকে দল বেঁধে পাহাড় যেতে যেতে কখন যেন একা হয়ে গেলাম৷ Read more…..

বুড়ামদমহেশ্বর

মদমহেশ্বর – স্বর্গীয় এক যাত্রাপথ

মদমহেশ্বর গঙ্গার বহমান আওয়াজের সাথেই মিশে যাচ্ছে ঝিঁঝিঁদের একটানা শব্দ, -যেন গ্যালারি জুড়ে সব দর্শক একসাথে গোলের বাঁশি বাজাচ্ছে। মাঝেমাঝেই তার সাথে জুড়ে যাচ্ছে পাখিদের নীড়ে ফেরার শিস্। শব্দের মরিচিকার মত কানে আসছে টুং টাং শব্দ, বিশ্বাস করতে ভাল লাগছে আমি একা নই, রাস্তায় অনেকে আছে। একটানা নীচে নামতে নামতেই বার কয়েক চড়াই ভাঙ্গা, -বুকে হাঁফ ধরলেও ভালোলাগে, -একঘেঁয়েমি থেকে মুক্তি। অন্ধকার নামল, -পথ চলছিই। Read more……

error: Content is protected !!