শিমলিপাল

শিমলিপাল

ভোরবেলা শিমলিপাল এর পিঠাবেটা প্রবেশ দ্বারে পৌঁছে ছাড়পত্র পেলাম শিমলিপাল এর অন্তরমহলের। পিয়াশাল,শিমূল, মহুয়া,কুঁচিলা,কুসুম কুয়াশা জড়ানো সকালে অতিথি বরণ করলো। জানা-অজানা নানা পাখির সুমিষ্ট কুঞ্জন ,জংলি পাতার ঝিরঝিরে ফিসফিসানি,আকাশিরঙ্গা প্রজাপতিদের অনাবিল ওড়াউড়ি আমাদের সাদর আহ্বান জানালো। ছোট ছোট লালচে টিলা,সরু নালার লালচে জলস্রোত, ইতি উতি উইঢিবির লালচে কারুকার্য, খাদের পাশের লালচে কাঁকুরে আবছায়া পথরেখা আমাদের রক্তিম আলিঙ্গন করলো। ল্যান্টেনা,রঙ্গন ,পুটুস ও ঘেঁটু ফুলের অকৃত্রিম সজীব জংলি গন্ধ গাড়ির ডিজেলের গন্ধ ভেদ করেও শিমলিপালের গায়ের আঘ্রান দিচ্ছিল।

বড়ন্তি

সূর্যাস্তের রঙকেও ফিকে করে দেয় বসন্তের ‘বড়ন্তির’ রঙ

রাস্তার দুপাশে পলাশের গাছ লাল হয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের গার্ড অফ অনার দিচ্ছে। লাল মাটির রাস্তায় পড়ে থাকা পলাশ যেন লাল কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে। লেকের জলে এসে পড়েছে বড়ন্তি পাহাড়ের ত্রিকোনাকৃতি প্রতিচ্ছবি। আর সূর্যদেব এতক্ষণে যেন তার ঝলসান রূপ ছেড়ে আমাদের আপন করে নিয়ে শান্ত সিগ্ধ রূপ ও রঙ দিয়ে শুধু লেকের জলকে রাঙিয়ে দিচ্ছে না, আমাদের মনেকে রাঙিয়ে দিচ্ছে।বহুদিন মনের মনিকোঠায় সঞ্চিত হয়ে থাকবে এই বিকেলের মন ভুলানো রূপ। Read more…….

চুইখিম

চুইখিম – মেঘের চাদর আর পাহাড় দিয়ে ঘেরা

শিলিগুড়িথেকে ৪০ কিমি বাগড়াকোট। আর সেখান থেকে মাত্র ১০ কিমি চুইখিম। যে কোন শনি রবিবার ঘুরে আসতে পারেন। কিন্তু কেন যাবেন এত জায়গা থাকতে চুইখিমে? আপনি কি গ্রাম দেখতে চান, দেখতে চান গ্রাম্য জীবন? আপনি কি জঙ্গল ঘুরতে চান? আপনি কি কোন উপত্যকার বুকে সূর্যোদয় দেখতে চান বা গ্রামের টিলার উপর থেকে সূর্যাস্ত? আপনি কি প্রাণ ভরা ভালবাসা পেতে চান? সব এক সঙ্গে পাবেন এখানে। Read more…….

কানহা

জব্বলপুর – কানহা

গেটে পারমিশনের কাগজ দেখিয়ে যখন ভেতরে প্রবেশ করি তখন সকাল সোওয়া ৭টা। প্রায় ১৯৪৫ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে কানহা ন্যাশনাল পার্ক। এত বড় আয়তনের দরুন সাফারির জন্য একে – কিসলি, মুক্কি, কানহা ও সারহি এই ৪ভাগে বিভক্ত করেছেন কতৃপক্ষ । আমরা পেয়েছি সারহি জোন-এ ঘোরার অনুমতিপত্র। খবর নিয়ে জানলাম ২০১০এর গনণা অনুসারে এই জঙ্গলে ১১২টি বাঘ আছে, যারমধ্যে ৮১টি পূর্ণ বয়স্ক বাকি ৩১টি শিশু।এখানে সকাল দেরী করে হয় – সবে সূর্য উঠেছে, নরম রোদ জঙ্গলের সবুজ জাল ফালাফালা করে চারদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। Read more……..

সতপন্থ-তাল

সতপন্থ তাল এর পথে

লোকগাথা হল, ‘সতপন্থ-তাল’ এর রাস্তা পান্ডবদের স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা৷ যদিও উত্তরাখন্ডের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই এমন দাবি করে থাকেন যে, তাঁদের কাছাকাছি উত্তুরে পথটাই হল সেই আদি পথ৷ এতে অবশ্য বিস্ময়েরও কিছু দেখিনা, বাস্তবিকই জায়গাগুলো দেখলে মনে হতেই পারে, -এইটাই বুঝি স্বর্গের পথ৷ অন্তত আমার তো তেমনই মনে হয়৷ যাক্, সেবার সেই পথেই গিয়েছিলাম শুধুমাত্র ঐ তালটাকে দেখে আসব বলে, কোনো স্বর্গারোহণের জন্য কিন্তু নয়৷ মুখে যতই বিরক্তি দেখাই না কেন, আমাদের এ’ ‘নরক’ এর প্রতি যে কী টান তা ঐ স্বর্গের পথে গেলেই বোধগম্য হয়৷ Read more……

মুন্সিয়ারি

ফিরে দেখা মুন্সিয়ারি

জীপের মাথা থেকে স্যাক্ নামিয়ে শহরটা যেটুকু দেখা যায় একটু চোখ বোলালাম। বেশ বড় শহর, ভালো লাগল অনেক সবুজ এখনও অবশিষ্ট আছে দেখে। পিঠে স্যাক্ গলিয়ে হাঁটা দিলাম আরও কিছুটা ওপরে কুমায়ুন মন্ডলের গেস্ট হাউসের দিকে। পথ চলছি, কিন্তু চোখ সেই পঞ্চচুলির দিকে, পরিস্কার নীল আকাশের নীচে শ্বেতশুভ্র পঞ্চশিখর, কানে ভেসে আসা পাহাড়ি সুর কথা খুঁজে পায়, -“তোমার মতো এমন টানে কেউ তো টানে না”। Read more……..

error: Content is protected !!