হরকিদুন

হর-কি-দুন কি লালি

পরদিন সকাল ৮টায় সিয়ানগাড্ এর ওপর ছোট্ট কাঠের পুল পেরিয়ে হরকিদুনের রাস্তা ধরলাম। পুল নাপেরিয়ে সোজা রাস্তা চলে গেছে রুঁইসারাগাড্ এর দিকে। সকালের নরম রোদে পাহাড়ি মেয়েরা চলেছে ক্ষেতের কাজে। আমাদের দেখে তাদের অহেতুক হাসাহাসি – বিব্রত বোধ করি। খানিক বাদে নিজেরাই কাছে এগিয়ে এসে হাত পাতে –“মিঠা সাব”, মানে আমাদের কাছে লজেন্সের প্রার্থণা। প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়েওঠা সুন্দরীদের আবদার মেটাতে সবাই দরাজ হয়ে উঠি। আবার এগিয়ে চলা। সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যের মুখে হরকিদুন। Read more……

মণিমহেশ সূর্যোদয়

মনের মণি – মণিমহেশ

এখানে দেরিতে সন্ধ্যে হয়, তাই জিপ থেকে নেমেই হাঁটা দিলাম ধানছোর পথে, সেখানেই আজকের রাত্রিবাস। চলেছি অসংখ্য পূণ্যার্থীকে সঙ্গী করে৷ রাস্তার বাঁপ্রান্তে খাদের দিকে পশ্চিম মুখে আমরা, আর যাঁরা ফিরছেন তাঁরা পূবমুখি – পাহাড়ের কোল ঘেঁষে। সকলের মুখেই শিব ভজনা। গন্তব্য যখন শিবতীর্থ মণিমহেশ, তখন এটাই স্বাভাবিক৷ গলা মেলাই সবার সাথে, -ওঁ নমঃ শিবায়। Read more…….

ত্রিযুগিনারায়ণ

ত্রিযুগিনারায়ণ – পুরাণে আছে শিব-পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল এখানে

মানুষ দেখতে, – মানে, নানাধরনের মানুষ দেখতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে, – সেই হস্টেলে থাকার সময় থেকেই৷ একা একা ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে অগুন্তি মানুষের মাঝে হারিয়ে যাওয়া, আর সেই হারানো ‘আমি’র চোখে সকলের চলন-বলন, অভিব্যাক্তি খুঁটিয়ে দেখার মধ্যে একটা অদ্ভুত ভালোলাগা ছিল তখন, – এখনও সেটা আছে৷ ঐ লোভেই ছুটে যেতাম হরেকরকম মেলাতেও৷ বিশ্বাস করুন সত্যিই হারিয়ে ফেলতাম নিজেকে৷সেই ‘৯০থেকে দল বেঁধে পাহাড় যেতে যেতে কখন যেন একা হয়ে গেলাম৷ Read more…..

বুড়ামদমহেশ্বর

মদমহেশ্বর – স্বর্গীয় এক যাত্রাপথ

মদমহেশ্বর গঙ্গার বহমান আওয়াজের সাথেই মিশে যাচ্ছে ঝিঁঝিঁদের একটানা শব্দ, -যেন গ্যালারি জুড়ে সব দর্শক একসাথে গোলের বাঁশি বাজাচ্ছে। মাঝেমাঝেই তার সাথে জুড়ে যাচ্ছে পাখিদের নীড়ে ফেরার শিস্। শব্দের মরিচিকার মত কানে আসছে টুং টাং শব্দ, বিশ্বাস করতে ভাল লাগছে আমি একা নই, রাস্তায় অনেকে আছে। একটানা নীচে নামতে নামতেই বার কয়েক চড়াই ভাঙ্গা, -বুকে হাঁফ ধরলেও ভালোলাগে, -একঘেঁয়েমি থেকে মুক্তি। অন্ধকার নামল, -পথ চলছিই। Read more……

কল্পেশ্বর

কল্পেশ্বর – ছবির মতো সুন্দর ‘দেবগ্রামে’ মহাদেবের অবস্থান

কুঁয়ারিপাস থেকে ফিরেছি কালই, আজ যাব কল্পেশ্বর। আজ অষ্টমি, বাড়ীতে থাকলে উপোস করি কিন্তু এখানে ঘুম ভাঙ্গতেই প্রথম খাবার কথা মনে এল! পাহাড়ে এই এক অভ্যেস, -রাত্রে তাড়াতড়ি খেয়ে শুয়ে পড় আর সকালে রাক্ষুসে খিদে নিয়ে উঠে গান্ডেপিন্ডে গেলো। জোশীমঠে বাজার খোলে দেরীতে, তাই সাত-সকালে(৬টা) খাবারের চিন্তা না করাই ভালো মনে করে ‘স্টক’-এর বিস্কুট নিয়ে বসলাম বারান্দায়। ভোরের আলো ফুটলেও রোদ্দুর পাহাড়ের পাঁচিল টপকে এদিকে ঝাঁপাতে পারেনি তখনও। Read more….

কেদার

কেদারনাথ

ছোটোবেলায় যেদিন বিকেলে মাঠে যাওয়া হোতোনা, সেদিন বাড়ীর ছাদে দাঁড়িয়ে সূয্যি ডোবা দেখতাম, আর দেখা হোতো আর একটা অবাক করা দৃশ্য, পাশের তেজপাতা গাছটা থেকে ঝাঁকে-ঝাঁকে চড়াই কিচিরমিচির শব্দে নীচের পড়ে থাকা বালিতে ঝাঁপ দিচ্ছে, আবার গা ঝেড়ে ফড়ফড় শব্দে উড়ে লুকিয়ে পড়ছে ঘন তেজপাতার আড়ালে। কি ভালোলাগা যে জুড়ে থাকত ওদের ঐ ওঠা-নামায়, আজও ভাবলে সেই ভালোলাগার আমেজটা পাই মনেমনে। Read more……

error: Content is protected !!